রুকনুজ্জামান জহুরী:::
বুড়ো বাঘ এবং শাবকের মধ্যে যুদ্ধ হলে, বুড়ো বাঘের জেতার সম্ভাবনাই বেশি, কারণ অভিজ্ঞতা ও শারীরিক শক্তির কারণে সে অনেক বেশি শক্তিশালী। তবে, যদি লড়াইটি কোনো নির্দিষ্ট গল্প বা ঘটনার ওপর ভিত্তি করে হয়, তাহলে সেই কাহিনীর ওপর নির্ভর করবে ফলাফল।
রাজনৈতিক ভোট যুদ্ধে বুড়ো বাঘ সবসময়ই থাকে এগিয়ে থাকবে।কেননা মাঠ ও ঘাটের প্রতিটি কর্নারই বুড়ো বাঘের চেনা জানা ও নিজ হাতে গড়া থাকে। আর শাবকের চিনতে জানতে ও অভিঙ্গতা লাভ করতে করতে বুড়ো বাঘ তার নির্দৃষ্ট গন্তব্যে পৌছে যায়।
বুড়ো বাঘের সুবিধা
অভিজ্ঞতা ও শক্তি: বয়স্ক বাঘের শিকারের দক্ষতা এবং লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা অনেক বেশি।
শারীরিক ক্ষমতা: তাদের পেশী এবং শরীরের আকার সাধারণত শাবকের চেয়ে বড় হয়, যা তাকে একটি বড় সুবিধা দেয়।
শাবকের লড়াই
প্রশিক্ষণ: বাঘের শাবক লড়াইয়ের কৌশল শেখে, কিন্তু তার শক্তি এবং অভিজ্ঞতা বুড়ো বাঘের তুলনায় কম থাকে।
জীবনের যুদ্ধ: কিছু ক্ষেত্রে, বেঁচে থাকার তাগিদে একটি শাবক যদি কোনো পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে যেখানে তাকে লড়াই করতেই হয়, তাহলে সে তার সম্পূর্ণ শক্তি দিয়ে লড়াই করবে।
রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটঃ দল, মত ও বিন্যাস ।বড় দলের প্রার্থী দলীয় অবস্হানে যেই এরিয়া যতো বেশি আন্তরিক সেই প্রার্থিও ততো বেশি শক্তিশালী। দলের ইউনিটি কর্মী জনবল সবসময়ই আলদা একটা সাহস মনোবল জোগায় আর মাঠকে রাখে সদায় প্রানভন্ত।
ছোট দল মনোবলে ও আত্মবিশ্বাসেও ছোট হওয়া তার জন্য কর্মীদের আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি করে প্রানভন্ত রাখাটাও একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়ায়।দল,কর্মী এরিয়া এই তিন শ্রেণী বিন্যাসে প্রার্থীর জন্য ভোটের আগে মাঠে অবস্হান ধরে রাখাটাই একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তবে কর্মী ও জনবান্ধব গুষ্টিকে একটি সুনির্দৃষ্ট লক্ষ্যবস্তু টিক করে সময়োপযুগী এজেন্ডা নিয়ে কাজ করতে পারলেই লক্ষে পৌছানো সম্ভব। তবে প্রতিদিন প্রতিটি স্হানে কর্মীদের কর্মী বৃদ্ধি করে মাঠকে প্রানভন্ত করে রাখাটাই হবে শ্রেয়।
সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি: কোনো নির্দিষ্ট গল্পে, শাবকের জয় বা পরাজয় গল্পের লেখকের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করবে।
মানুষের হস্তক্ষেপ: মানুষ অনেক সময় বাঘের লড়াইয়ের আয়োজন করে থাকে। সেক্ষেত্রে, মানুষের উদ্দেশ্য এবং পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে চূড়ান্ত ফলাফল।
সুনামগঞ্জ -২ আসনে ৪ ডিসেম্বরে বিএনপির প্রার্থিতা হিসেবে সাবেক এমপি নাছির উদ্দীন চৌধুরী নাম ঘোষণা হবার পরপরই দিরাই শাল্লার চিত্র পাল্টে গেছে।
মানুষ যোগ্য নেতা ও নেতৃত্বের অভাব দেখছিলেন। সেই সুবাদে সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজিবী হিসেবে দেশ খ্যাত হওয়ায় জামায়াত নেতা এড. শিশির মনিরকে নিয়ে স্বপ্নজাল বুনেছিলেন ।৫ আগষ্টের পরপরই তিনিও দিরাই শাল্লার প্রতি ইউনিয়ন গ্রাম পাড়া ও মহল্লায় চষে বেড়িয়াছেন ।মানুষের সুখ দুঃখ ,সমস্যা ও ভুগান্তি নিরসনে দিন রাত পরিশ্রম করে গেছেন।নিজ স্বাধ্যমত করে গেছেন উন্নয়ন।জনদুর্ভোগ কমাতে নিজ অর্থে রাস্তাঘাট কালবার্ট বিদ্যুৎ লাইন ও সংযোগ দিয়ে গেছেন নিজস্ব তহবিল থেকে।
Leave a Reply