সত্য প্রবাহ ডেস্কঃ
সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় রাজনৈতিক দলের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, গোলাগুলি ও অস্ত্রের মহড়া চলতে থাকায় জননিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ে। এই প্রেক্ষাপটে গত ২২ জুন ২০২৫ তারিখে কুলঞ্জ ইউনিয়নের হাতিয়া গ্রামে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে একটি যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযান চলাকালে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান একরার হোসেন সমর্থিত লোকজন সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে নৌকা যোগে পালানোর চেষ্টা করে বলে জানান সেনাবাহিনীর টহল দল।সেনাবাহিনীর ধাওয়ায় একরার গ্রুপ পার্শ্ববর্তী গাদিয়ালা গ্রামে প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে থাকে। এক পর্যায়ে উৎপেতে থাকা লোকজন সেনাবাহিনীকেও লক্ষ্য করে গুলি চালালে আত্মরক্ষার্থে সেনাবাহিনী পাল্টাগুলি চালায় ও সন্ত্রাসীদেরকে প্রতিহত করেন। পরবর্তীতে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করে যৌথ বাহিনীর টহল দল ঘটনাস্থল হতে মোঃ আবু সাঈদ (৩৫) নামের এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করে। এছাড়াও চারজন সন্ত্রাসী তাজউদ্দীন, আমির উদ্দিন, হিরণ মিয়া ও জমির মিয়াকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের স্বীকারোক্তি ও তথ্যের ভিত্তিতে তাদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একটি একনালা বন্দুক, চারটি পাইপ গান, এক রাউন্ড তাজা গুলি, ছয়টি বুলেট প্রুফ জ্যাকেট এবং বেশ কিছু দেশীয় ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। আজ সকাল সাড়ে আটটায় যৌথ বাহিনীর অভিযানটি শেষ হয়। উক্ত অভিযানে আটককৃত ব্যক্তিবর্গ এবং তাদের নিকট হতে উদ্ধারকৃত বিভিন্ন সরঞ্জামাদি পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এর পাশাপাশি উদ্ধারকৃত মৃতদেহের ময়নাতদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এইদিকে আছরের নামাজ শেষে আবু সাঈদের লাশ তাহার নিজ এলাকায় জানাযা শেষে দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।
Leave a Reply